রাত পোহালেই ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। কয়েকদিন ধরে ঈদে ঘরমুখো মানুষ যানজটে ভোগান্তি পোহালেও ঈদের আগের দিন সাভারের সড়ক-মহাসড়কে স্বস্তি ফিরেছে। প্রায় ফাঁকা সাভারের সব সড়ক-মহাসড়ক।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাভারের টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড, ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সড়কে দীর্ঘ সময় পর পর চলছে কিছু ট্রাক, লেগুনা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার (১৯ জুলাই) রাতভর সাভারের প্রতিটি মহাসড়কে ছিল গাড়ির দীর্ঘ সারি। কয়েক মিনিটের পথ পারি দিতে সময় লেগেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই এসব মহাসড়কে যাত্রীবাহীসহ গরুবাহী ট্রাকের চাপ কমতে থাকে। বিকেল থেকে মহাসড়ক ফাঁকা হতে শুরু করে। তবে সড়কে খানাখন্দ ও পানি জমে থাকায় টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাইপাইল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে এখনও কিছু মানুষ বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন। যানজট এড়াতে এমন সময় বেছে নিয়েছেন তারা। ফাঁকা সড়কে গ্রামের বাড়ি রংপুরের  উদ্দেশ্য রওনা হয়েছেন সুবজ। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই ঈদ পর বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু যানজটের কারণে বাসা থেকে বের হওয়ার সাহস পাইনি। সহকর্মীরা বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে ভোররাতে চন্দ্রা পার হয়েছে। এখন খোঁজ নিয়ে শুনি সড়ক ফাঁকা, তাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। যারা আগে বের হয়েছে তাদের দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরে আমিও পৌঁছে যাব ভোগান্তি ছাড়াই।

সড়ক দিয়ে গরুবাহী ট্রাক ফিরছে গন্তব্যে। এমন একটি ট্রাকের চালক আউয়াল বলেন, আমাদের সব গরু বিক্রি হয়েছে তাই ঢাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমরা পাবনার সাঁথিয়া যাব। এখন যানজট কম আছে। শুনেছি টাঙ্গাইলে কিছুটা যানজট রয়েছে তারপরও আর ভোগান্তি তেমন একটা হবে না।

এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক সাজ্জাদ করিম বলেন, এখন কোনো গাড়ির চাপ নেই। মহাসড়ক প্রায় ফাঁকা। যখন চাপ ছিল তখন আমরা যৌথভাবে সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। মহাসড়কের সাভার অংশে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভাড়া বেশির অভিযোগ ছিল। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সত্যতা পেয়ে মামলা দিয়েছি।

মাহিদুল মাহিদ/আরএআর