পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে তিনটি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম সুপারিশ ঘাট স্থানান্তর নিয়ে। এরপরই সন্ধ্যা থেকে শিমুলিয়া ঘাট মাওয়ায় স্থানান্তর নিয়ে চারিদিকে আলোচনা চলছে।

তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো হলো- প্রবল স্রোতে দুর্ঘটনা এড়াতে পদ্মা সেতুকে এড়িয়ে চলতে শিমুলিয়া ঘাটের পার্শ্ববর্তী পুরোনো মাওয়া ঘাটে অথবা মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট শরীয়তপুরের পুরোনো মাঝিকান্দি ঘাটে স্থানান্তর, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে চলাচলকারী দুর্বল ফেরি সরিয়ে স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিতে সক্ষম এমন দ্রুতগতির ফেরি দেওয়া এবং পদ্মা সেতুর পাইল ক্যাপে ফেন্ডার (টায়ারের মতো রাবার) স্থাপন করা।

বিআইডব্লিউটিসির চার সদস্যের তদন্ত কমিটি রোববার তাদের প্রতিবেদনে এই তিন সুপারিশ করেছে বলে তদন্ত কমিটির প্রধান বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘাট স্থানান্তরে বেশি উপযোগী হবে মাওয়া পুরোনো ফেরি ঘাট। এই ঘাট উজানে থাকার কারণে নাব্য সংকট কম থাকবে। এ ছাড়া ফেরি পথ কমবে প্রায় আড়াই থেকে দুই কিলোমিটার। একইভাবে সড়ক পথও কমবে। বর্তমানে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটের দূরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার।

তবে এটি স্থানান্তরে কিছুটা সময় লাগবে এবং মাওয়া চৌরাস্তা থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে। তবে এই ঘাট মাওয়ায় স্থানান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর নদী শাসনের কাজ কিছুটা বিঘ্নিত হতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু চালু হতে এক বছরেরও কম সময় লাগবে। তাছাড়া বর্ষার প্রবল স্রোত থাকবে আরও প্রায় দুই মাস। প্রায় ৮ মাস ধরে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়েই ফেরিগুলো চলাচল করছিল। কিন্তু এই স্রোতের প্রতিকূলে চলাচলে সক্ষম ফেরি এবং দক্ষ চালক দিয়ে পরিচালনা করা এবং পদ্মা সেতুর নদীতে থাকা ৪০টি খুঁটির ২০টি খুঁটিতে পাইল ক্যাপে ফেন্ডার স্থাপন করা হলেই সংকটের অবসান ঘটতে পারে।

এসপি