গাজীপুরের শ্রীপুরে মুদি দোকানে হামলা এবং পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগানোর ঘটনায় দগ্ধ যুবক আরিফ হোসেন (২৬) মারা গেছেন। সোমবার (২৬ জুলাই) রাত সোয়া ১১টায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আরিফ উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয় খালি গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আরিফের বাবা জজ মিয়া, তার ভাই মোফাজ্জল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন এবং সজিব আহত হয়েছেন। আহতদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত তেলিহাটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তোফাজ্জল সরকারসহ তিনজনের নামে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন- তেলিহাটি গ্রামের ফালু সরকারের ছেলে মোফাজ্জল সরকার এবং তাইজু সরকারসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া মামলার বরাত দিয়ে জানান, বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাতে উপজেলার তেলিহাটি মোড়ে ভাই ভাই ট্রেডার্সে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে আসেন ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তোফাজ্জল সরকার। দাম বেশি চাওয়া হয়েছে এমন অভিযোগে দোকান মালিক মোজাম্মেলের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে খবর পেয়ে তোফাজ্জলের ভাই মোফাজ্জল সরকার ও তাইজু সরকার দলবল নিয়ে এসে দোকানে হামলা করে এবং পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে দোকান মালিকসহ চারজন অগ্নিদগ্ধ হয়।

এ ঘটনায় দোকান মালিক মোজাম্মেল হোসেনের ভাই বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে অভিযুক্ত করে শুক্রবার সকালে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তবে তাদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে। 

এ বিষয়ে যুবদলের সভাপতি তোফাজ্জল সরকার বলেন, আমরা সব সময় ৯০০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার কিনি। সন্ধ্যায় আমি তেলিহাটি চৌরাস্তা যাওয়ার পর দোকান মালিক মোজাম্মেল আমার কাছে এক হাজার ৫০ টাকা দাবি করে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা আমাকে মারধর করেন। তারা নিজেরা দোকানের মালামাল ভাঙচুর করে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করেছে।

শিহাব খান/এসপি