রংপুরের বদরগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় এক মাদরাসাছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত ওই ছাত্রী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শঙ্কিত রয়েছে পরিবার।

বুধবার (২৮ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের সাজানোগ্রাম এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। সে স্থানীয় লোহানীপাড়া দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।

জানা গেছে, পারিবারিক আত্মীয়তার সূত্র ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার শাখাওয়াত হোসেনের। সে বড়বালা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়বালা গ্রামের মোনায়েম হোসেনের ছেলে। ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় শাখাওয়াত। কিন্তু এ প্রস্তাব সাড়া না দেওয়ায় শাখাওয়াত বিভিন্নভাবে তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

সম্প্রতি ওই ছাত্রীর অন্যত্র বিয়ের দিন ঠিক করা হয়। এ ঘটনা জানতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। বুধবার ভোরে মিঠাপুকুর থেকে মোটরসাইকেল করে ওই ছাত্রীর বাড়িতে আসে শাখাওয়াত। ওই সময় বাড়ির সবাই জেগে না থাকায় ঘুমন্ত ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে দুই পা, মুখ, কপালে ছুরিকাঘাত করে। পরে ছাত্রী চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।

ঘটনার পর শাখাওয়াত দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স (ইনচার্জ) রেবেকা সুলতানা জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় সকালে ওই মাদরাসাছাত্রীকে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে মারাত্মক জখম রয়েছে।

লোহানীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাকিব হাসান ডলু শাহ্ বলেন, ওই ছাত্রীর বড় বোনের শ্বশুরবাড়ির মিঠাপুকুরে। সেই সম্পর্কের সূত্রে ছেলেটি তাদের আত্মীয় হয়। কিন্তু যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা দুঃখজনক। সকালে আমি বিষয়টি জানার পর মেয়ের পরিবারকে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ভোরবেলায় ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দিতে থানায় আসেনি। ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনগত সহায়তা দিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর