ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে টিকাপ্রার্থীদের ভিড়

ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে টিকাপ্রার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। টিকা নিতে যারা এসেছেন, তাদের দীর্ঘ সারিতে সামাজিক দূরত্ব নেই। এ ভিড় সামলাতে টিকা প্রদানকারীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।   

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর সদরের তিনটি হাসপাতাল এবং জেলার আটটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ মোট ১১টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (২৮ জুলাই) বেলা এগারোটার দিকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে দেখা গেছে, টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের দীর্ঘ সারি হাসপাতালের ভেতর থেকে মুজিব সড়ক পর্যন্ত পৌঁছেছে। টিকাপ্রার্থীরা একে অন্যের সঙ্গে গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে মাস্কও পরেননি। 

সাড়িতে অপেক্ষারত শহরের পূর্ব খাবাসপুর এলাকার বাসিন্দা মেহেরুন্নেসা বলেন, এখান থেকে গিয়ে রান্না করতে হবে। এত ভিড় ঠেলে এবং সময় খরচ করে টিকা দিতে হবে, জানলে আগেই বাড়ির কাজ শেষ করে আসতাম।

শহরের টেপাখোলা মহল্লার বাসিন্দা হাসমত আলী বলেন, লাইনে দাঁড়াতে আপত্তি নেই। কিন্তু মানুষ যেভাবে গায়ের ওপর উঠে আসে, তাতে স্বাস্থ্যবিধি আর থাকে না। টিকা নিতে এসে ভাইরাস নিয়ে যাচ্ছি কি না কে জানে? 

ফরিদপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার ফরিদপুরের ১১টি কেন্দ্রে তিন হাজার ৩৭ জনকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮১৪ জন টিকা নিয়েছেন ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে। ফরিদপুর সদরের অন্য দুটি কেন্দ্রের মধ্যে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৪৮২ জন এবং ফরিদপুর পুলিশ লাইনস হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন ৮৩ জন।

জেলা সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ফরিদপুরে টিকা নেওয়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। সদর উপজেলার লোকজন জেনারেল হাসপাতালের পাশাপাশি ফরিদপুর মেডিকেল ও পুলিশ লাইনস হাসপাতাল থেকে টিকা নিলে এক কেন্দ্রে এত ভিড় হতো না।

জহির হোসেন/আরএইচ