টানা বৃষ্টিতে ‘অন্ধকারে’ হাতিয়া
কুপি জ্বালিয়ে চলে পড়াশোনা
সাগরে মৌসুমি লঘুচাপের কারণে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা হাওয়ার সঙ্গে টানা বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সোলার অকেজো হওয়ায় অন্ধকারে রয়েছে হাতিয়াবাসী।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খবর নিয়ে জানা যায়, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সূর্যের আলো না পাওয়া সোলার অকেজো হয়ে গেছে।
হাতিয়া উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা ইউসুফ রেজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৭ দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে দিনের বেলায় সূর্যের আলো পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার নেমে আসে ঘরে ঘরে। সোলার সিস্টেম অকেজো হয়ে গেছে। কুপি জ্বালিয়ে পড়াশোনা করতে হয়।
বিজ্ঞাপন
হাতিয়া পৌরসভার ওছখালী বাজারের সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিং লেগেই আছে। প্রতি দিন গড়ে দুই ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। ফ্রিজে রক্ষিত মাছ, মাংস ও জরুরি ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা তাসলিম হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টি হওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাটে চলাচল করা যাচ্ছে না। নিঝুমদ্বীপে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে।
জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর বিপদ সংকেত রয়েছে। আশাকরি দু-এক দিনের ভেতর আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে।
হাতিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ লিটন বলেন, উপজেলায় ৫ লাখ লোকের বসবাস। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের সঙ্গে এর কোনো সংযোগ নেই। সূর্যের আলো না থাকায় সোলার অকেজো হয়ে যায়।
ইউএনও ইমরান হোসেন বলেন, হাতিয়ায় ২ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সেবার আওতায় রয়েছে। এছাড়া বিশাল একটা অংশ বিদ্যুৎ সেবার বাইরে রয়েছে। সরকার ১৫ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে।
হাসিব আল আমিন/এমএসআর