বিএনপির সভাপতি ইসতিয়াক আহম্মেদ মাসুদ

বরিশালে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করার ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিসহ চারজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বরিশালের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাব্বির মো. খালিদ এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইসতিয়াক আহম্মেদ মাসুদ, মনির পালোয়ান, সানু হাওলাদার ও ফয়সাল খান। এর মধ্যে পলাতক রয়েছেন মনির পালোয়ান ও সানু হাওলাদার।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২১ মার্চ রাতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইসতিয়াক আহম্মেদ মাসুদ তার দলবল নিয়ে দক্ষিণ কাজলাকাঠি এলাকার বিভিন্ন ভোটারদের ধানের শীষে ও স্বতন্ত্রপ্রার্থীর আনারস মার্কা ছাড়া অন্য মার্কায় ভোট না দিতে ভয়ভীতি দেখান।

এ সংবাদের ভিত্তিতে তাদের বাধা দিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুজ্জামান খান লিটনসহ অন্যান্যরা এগিয়ে গেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ মাসুদ ও তার সহযোগীরা তাদের মারধর করেন। সেই সঙ্গে তারা মনিরুজ্জামানকে মোতাহর খানের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

পরে তারা মনিরুজ্জামানের বহরের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে প্রায় সাত লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ইসতিয়াক আহম্মেদ মাসুদসহ অন্যরা ১৫-২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এলাকা ত্যাগ করেন।

ওই দিনই বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করেন মনিরুজ্জামান। একই বছর ৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই লুৎফর রহমান আদালতে আসামিদের অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার চার আসামিকে পৃথক ধারায় এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এপিপি আব্দুল ওদুদ বলেন, সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্কে ভোটারদের ভোট দিতে বাধ্য করার ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় চার আসামিকে পৃথক ধারায় এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। পরে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এএম