পঞ্চগড়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ

দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন তাপমাত্রা ওঠানামা করায় বাড়ছে শীত। সেই সঙ্গে বাড়ছে জেলার পাঁচ উপজেলার নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি। জেলার মানুষের কাছে জীবন সংগ্রামের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে শীত। 

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা এক অঙ্কের ঘর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দুই অঙ্কের ঘরে এসেছে। তবে তাপমাত্রা ও শীতের মধ্যে দেখা যাচ্ছে ভিন্নতা।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার পাঁচ উপজেলায় সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা সূর্যের মলিন হাসি দেখা গেলেও নেই উত্তাপ। ফলে মেঘাচ্ছন্ন ও হালকা কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে চারদিক।

কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও দিনমজুর। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। অনেকে বেকার সময় পার করছেন। 

দিন দিন পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ জেলার চার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতজনিত রোগীর মধ্যে বয়স্ক ও শিশুর সংখ্যা বেশি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার পাঁচ উপজেলার ৪৩ ইউনিয়নের গরিব অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যােগে ৩৫ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে যে পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলানায় অপ্রতুল।

জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, পঞ্চগড় থেকে হিমালয় অনেক কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছর শীতের দাপট বেশি থাকে। গত কয়েকদিন হিমালয়ের হিমবায়ু প্রবাহিত হওয়ায় শীতের তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। এজন্য শীত কমেনি।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, মঙ্গলবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও শীতের তীব্রতা হ্রাস পায়নি। তবে তাপমাত্রা আগামী দু’একদিনের মধ্যে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এএম