সাতক্ষীরার উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুর থেকে প্রসূতি মাকে নিয়ে নদী পথে ট্রলারযোগে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ট্রলারেই কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই মা। বর্তমানে মা ও সদ্যজাত শিশুটি সুস্থ রয়েছে।

শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে খোলপেটুয়া নদীর মাঝখানে কামালকাটি এলাকায় সন্তানের জন্ম দেন ওই মা।

প্রসূতি মা কেয়ামনি (২০) পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের ইমরান হোসেনের স্ত্রী। ইমরান হোসেনের বাবা ইব্রাহিম হোসেন জানান, রাত থেকেই প্রসব বেদনা শুরু হয়। স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক ও ধাত্রীরা দুপুর পর্যন্ত চেষ্টা করলেও সন্তানের জন্ম হয়নি। এরপর সাড়ে ১২টার দিকে নদীপথে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হলে খোলপেটুয়া নদীর মাঝখানে কামালকাটি এলাকায় কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ রয়েছে। তাদেরকে শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেকী শামিমা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের ইউনিয়নটি দ্বীপ এলাকায়। যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা নেই। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। গুরুতর কেউ অসুস্থ হলেও কোনো ভালো ডাক্তার নেই। যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় বউমাকে (পুত্রবধূ) দোলনার মধ্যে নিয়ে বাঁশে বেঁধে কাঁধে করে নৌকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। অবশেষে ডাক্তারের কাছে পৌঁছানোর আগেই সন্তানের জন্ম হয়েছে। এখনো নাম রাখা হয়নি। 

পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাটি আমাকে কেউ জানায়নি। তবে খোঁজ নিচ্ছি। এর আগেও এমন ঘটনা অনেকবার ঘটেছে। উপকূলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ট্রলার বা নৌকা। জরুরি কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কোনো কোনো উপায় নেই।

আকরামুল ইসলাম/এমএএস