করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামের বাসিন্দা সুমন আচার্যের (৩৮) সৎকার হয়নি তার নিজ গ্রামে। কেউ এগিয়ে না আসায় শ্রীমঙ্গলে তার সৎকার হয়েছে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকার ডিএনসিসি হাসপাতালে মারা যান সুমন। সৎকারের জন্য রাত দুইটার দিকে তার মরদেহ ফান্দাউক গ্রামের শ্মশানে নিয়ে আসেন সঙ্গে থাকা দুই স্বজন। মরদেহ দীর্ঘক্ষণ শ্মশানে রাখা হলেও গ্রামের কেউ সৎকারে এগিয়ে আসেননি। পরে সুমনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার শ্বশুরবাড়ি শ্রীমঙ্গলে। সেখানকার একটি শ্মশানে শনিবার (৩১ জুলাই) তার সৎকার সম্পন্ন হয়।

সুমনের নিকটাত্মীয় রনি আচার্য জানান, স্থানীয়ভাবে সাড়া না পাওয়ায় শ্রীমঙ্গলের সৎকার কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রীমঙ্গল পৌর শ্মশানে সুমনের সৎকার সম্পন্ন করা হয়।

ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আলমগীর শাহ বলেন, সুমনের সৎকারের বিষয়ে আমাদের জানানো হয়নি। করোনার ভয়ে লোকজন না আসায় তাকে গ্রামের শ্মশানে দাহ করা যায়নি। 

শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সৎকার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ভানু লাল রায় জানান, সুমনের স্বজনরা জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কারণে তার এলাকার লোকজন সৎকারে সাহায্য না করায় মরদেহ এখানে নিয়ে আসা হয়। পরে সৎকার কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে সুমনের সৎকার সম্পন্ন হয়।

আজিজুল সঞ্চয়/আরএইচ