আজও সেই শব্দ কানে বাজে হিলিবাসীর
হিলি ট্র্যাজেডির ফাইল ছবি
১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি। রাত ৯টা বেজে ১৫ মিনিট। সেই সময় গোয়ালনন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেন স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে সৈয়দপুর থেকে খুলনাগামী ৭৪৮ নম্বর আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস একই প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করে। এ সময় দাঁড়িয়ে থাকা ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেনটিকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে বিকট শব্দে ট্রেনটির ওপরে উঠে যায়। স্টেশনের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ট্রেনের বেশ কিছু যাত্রী হতাহত হয়। সেই ঘটনায় শতাধিক মানুষ মারা যান। দিনাজপুরের হিলি স্টেশনের সেই দিনের ঘটনার এমনিভাবে বর্ণনা করছিলেন রেলওয়ে একতা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বুলু।
তিনি বলেন, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা পরদিন ১৪ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছুটে আসেন দুর্ঘটনাস্থলে। সে সময় তিনি নিহত ও আহতদের ক্ষতি পূরণের ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞাপন
রেলওয়ে একতা ক্লাবের বর্তমান সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, ১৯৯৫ সালের সেই দুঘটনার পর থেকে প্রতি বছর এইদিনে হিলি রেলস্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও আমরা কালো ব্যাচ ধারণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছি।
স্টেশনের পাশের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব হোসেন আলী বলেন, সেই দিনের ট্রেন দুর্ঘটনার শব্দ আজও কানে বাজে। মানুষের ছিন্নভিন্ন দেহগুলো দেখেছি। আজ মনে হলে শরীর শিওরে ওঠে। আজও সেই স্মৃতি ভুলতে পারিনা।
বিজ্ঞাপন
হিলি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন বলেন, ট্রেন দুর্ঘনায় আহত এবং নিহতের বিষয়ে অনেক মতানৈক্য রয়েছে। সেই দিন শতাধিক লোক মারা গেলেও সরকারের হিসেবে মৃত দেখানো হয়েছে ২৭ জন। কিন্তু মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন,আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা যাচাই করে সেই দিনের গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হোক।
এসপি