আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ

ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামে নিজ ঘরে আগুনে পুড়ে মো. রায়হান ওরফে সোহাগ (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয়রা সোহাগের ভস্মীভূত মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে দুপুরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। 

ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর পিছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি-না খতিয়ে দেখা হবে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের কাছে শুনেছি- গত সপ্তাহে সোহাগ তার মাকে কুপিয়ে আহত করে। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য বা অভিযোগ নেই। তার মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 ধলিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল বশর সবুজ জানান, অলিপুর গ্রামের সাবেক সেনাসদস্য নুর নবীর বাড়িতে মৃত ছালেহ আহমদের স্ত্রী নিলুফা আক্তার বালি ও সোহাগসহ দুই ছেলে কেয়ারটেকার হিসেবে থাকেন। নুর নবীর বাড়ির সবাই ঢাকা ও অন্যত্র বসবাস করেন। ঘটনার দিন রাতে সোহাগ ঘরে একাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে ওই বাড়িতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফেনী থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিভিয়ে চলে যান। আগুনে দুটি টিনের ঘর পুড়ে যায়। পরে সকালে স্থানীয়রা সেখানে ঘরের মেঝেতে সোহাগের পোড়া মরদেহ দেখতে পান। তারা থানায় খবর দিলে দুপুরে পুলিশ ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। 

তিনি আরও জানান, গত ৬ জানুয়ারি টাকা না দেয়ায় মা নিলুফাকে কুপিয়ে আহত করে সোহাগ। নিলুফা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার সাতদিন পর এই ঘটনা ঘটল। তিনি এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে খবর পেয়ে ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা ও ফেনী মডেল থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. ওমর হায়দার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহ খানেক আগে সোহাগ তার মাকে কুপিয়ে আহত করে। এরপর থেকে তিনি কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। তার বড় ভাই শাহাদাত আগে থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন।

আরএআর