মহাসড়কে ভোগান্তি, ফেরিঘাটে স্বস্তি
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ঢাকামুখী যাত্রীদের দৌলতদিয়া ঘাট পৌঁছাতে মহাসড়কে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া ঘাটে পৌঁছাতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। তবে মহাসড়কে ভোগান্তি থাকলেও ফেরিঘাটে এসে যাত্রীরা স্বস্তিতেই পদ্মা পাড়ি দিয়ে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে যাচ্ছেন।
এদিকে ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমে আসায় স্বস্তি পাচ্ছেন বলে জানান ফেরিঘাটে আসা যাত্রীরা। তবে মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকার কারণে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন কমে আসার কারণে ৮টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে কোনো যানবাহনের সিরিয়াল দেখা যায়নি।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক ফেরিঘাটে এসেই অপেক্ষা না করে ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। তবে যাত্রী ও যানবাহন না থাকার কারণে ঘণ্টাখানেক সময় অপেক্ষা করে ফেরিগুলো দৌলতদিয়া প্রান্ত ছেড়ে পাটুরিয়া ঘাটে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় একপ্রকার ভোগান্তি মাথায় নিয়েই যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। থ্রি-হুইলার, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, রিকশা ও ভ্যান, মাহেন্দ্র, নছিমন-করিমনে করে আসছে তারা। এ সময় অনেককে হেঁটে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে ঘাট এলাকায় আসতে দেখা যায়। তবে দীর্ঘক্ষণ ফেরিঘাটে অবস্থান করলেও ফেরি পরিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তারা নদী পাড়ি দিতে পারছেন না।
মাদারীপুর থেকে আসা যাত্রী সুমন রহমান বলেন, আমি জরুরি প্রয়োজনে ঢাকায় যাচ্ছি। মাদারীপুর থেকে এখানে আসতে আমার ৭০০ টাকা লেগেছে। তবে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে কোনো ভোগান্তি নেই, যাত্রীর চাপও নেই।
পাংশা থেকে আসা যাত্রী রিয়াদ হোসেন বলেন, পাংশা থেকে থ্রি-হুইলারে ১০ জন করে যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসি। মাহেন্দ্র গাড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়। তারা বলে বিভিন্ন জায়গায় ম্যানেজ করে যেতে হয়। তাই ভাড়া বেশি দিতে হবে। তিনি বলেন, সময় এসেছে সব ধরনের গণপরিবহন চালু করে দেওয়ার। এতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার পাশাপাশি যাত্রীরা সুবিধা পেত।
ফরিদপুর থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা যাত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, আমি সাভারের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। রোববার থেকে পোশাক কারখানা খোলায় কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে। গত কয়েক দিন যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় আমি আজ ঢাকায় যাচ্ছি। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঘাটে আসতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) মো. জামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জরুরি পণ্য ও সেবা পরিবহনের জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৯টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কম থাকায় ফেরিঘাট দিয়ে যাত্রীরা স্বস্তিতে পাটুরিয়া যেতে পারছেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, কঠোর বিধিনিষেধে ফেরিঘাট এলাকায় থানা পুলিশ শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। তবে ফেরিঘাটে যারা আসছে, তারা জরুরি প্রয়োজনেই ঢাকায় যাচ্ছেন।
মীর সামসুজ্জামান/এনএ