মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিতে করেই পার হচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। 

বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে এই নৌপথে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। যাত্রীদের ভিড় সামলাতে যানবাহন ছাড়াই যাত্রী পারাপার করে বেশ কয়েকটি ফেরি। যাত্রীদের অধিকাংশ শ্রমিক হওয়ায় অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের আগে পারাপার করা হচ্ছে।

এদিকে তীব্র স্রোত ও যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। এ কারণে বাংলাবাজার ঘাটে পারের অপেক্ষায় চার শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে। শিমুলিয়া ঘাটেও আটকা পড়েছে দুই শতাধিক যানবাহন। এই মুহূর্তে ঘাট এলাকায় চলাচল করছে ১০টি ফেরি।

গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাত্রী রাশেদ মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, খুব ভোরে গোপালগঞ্জ থেকে রওনা হয়েছি। ভাবছিলাম, সকাল সকাল ঘাটে এলে ভিড় কম হবে। কিন্তু ঘাটে আসার পরে দেখি, আমার মতো হাজারো যাত্রী ঢাকায় যাওয়ার জন্য আসছে। এখন কোনো মতো ফেরিতে উঠে ওপারে যেতে পারলেই হবে। দুদিন ধরে আমার কারখানা খোলা, আজ যেতে না পারলে চাকরি থাকবে না। 

ঢাকা থেকে আসা ময়নাবিবি বলেন, এক সাহেবের বাসা বাড়িত কাজ করি। আমার মাইয়াডা গ্রামেই থাকে। গতকাল ফোন দিয়ে কইলো খুব অসুস্থ। তাই গ্রামে যাইতাছি। ঘাটে অনেক ভিড় থাকায় অনেক কষ্ট কইরা ফেরি পার হইলাম।

বাংলাবাজার ফেরিঘাটে দায়িত্বরত নৌপুলিশের পরিদর্শক আবদুল রাজ্জাক বলেন, আজ সকাল থেকে যাত্রীর চাপ বেশি। যাত্রীদের বেশির ভাগই শ্রমিক। আমরা শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছি।

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে জানান, আমাদের ১০টি ফেরি চালু রয়েছে। সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া থেকে ফেরি আসতে দেরি হওয়ায় পারাপারে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। আটকা পড়া গাড়িগুলো পর্যায়ক্রমে পারাপার করা হচ্ছে।

নাজমুল মোড়ল/এসপি