চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ছয়জন ও উপসর্গ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৯ জনে। এ দিন চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে ৪০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন মঙ্গলবার ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। 

চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ মঙ্গলবার নতুন ২৪৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১৬০ জন। এ দিন ২৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট ২২ হাজার ৮৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ সময় ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ১৬৯ জন। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ১১৭ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হলেন ৪ হাজার ২৭৮ জন।

বর্তমানে সক্রিয় রোগীর মধ্যে হাসপাতালে রয়েছেন ৮৩ জন আর বাড়িতে রয়েছেন ১ হাজার ৬১৯ জন। নতুন যে ৪০ জন শনাক্ত হয়েছেন তার মধ্যে সদর উপজেলার ২৫ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার সাতজন, দামুড়হুদার তিনজন ও জীবননগরের পাঁচজন রয়েছে।

মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে যে ছয়জন মারা গেছেন তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। হলুদ জোনে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা গেছেন। একজন হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের হালিমা খাতুন। তিনি সর্দি, কাশি ও জ্বরে ভুগছিলেন। তার অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর হাসপাতালের হলুদজোনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সকাল সোয়া ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

অন্যজন হলেন-চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের রহিমা খাতুন। কয়েকদিন ধরে তিনি জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনা ইউনিটের হলুদজোনে রেখে তার চিকিৎসা দেন। ওইদিন দেড় ঘণ্টা পর তার মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান বলেন, মঙ্গলবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে রেডজোনে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে হলুদ জোনে মারা গেছেন দুজন। এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় করোনায় মারা গেছেন ৭১ জন এবং জেলার বাইরে ১৮ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৮৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭১ জন। 

আফজালুল হক/এসপি