সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম

পাবনার সাঁথিয়া পৌর নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পাবনা-১ আসনের এমপি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। 

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় পাবনা প্রেস ক্লাবের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি মনোনিত ধানের শীষের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকেই আমার কর্মী-সমর্থকদের পোস্টার লাগাতে দেওয়া হয়নি, পোস্টার ছিঁড়ে ড্রেনে ফেলা হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। যেটা আমি সাঁথিয়া থানা ও উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরারবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।

তিনি বলেন,  গত ১ জানুয়ারি ধানের শীষের পোস্টার ছেঁড়ার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার ছোট ভাই মিরাজুল ইসলাম, বড় ভাই কামরুল ইসলামকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে, এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হলেও আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি।

সংসদীয় এলাকার এমপির বিরুদ্ধে আরচরবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বলেন, গত ৪ জানুয়ারি আফতাবনগর ছেঁছানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি নৌকার মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর আলম বাচ্চুর পক্ষে ভোটের আহ্বান করেন। ৯ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষক সমাবেশে সাঁথিয়া উপজেলা অডিটরিয়ামে তিনি নৌকার ভোট প্রার্থনা করেছেন। 

১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে তিনি নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বলেন। এর ফলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। সংসদ সদস্যের এমন কার্যক্রম নির্বাচনী আচরণবিধির ২ ধারার ১২ উপধারার লঙ্ঘন।

এতে পৌরসভার নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত হওয়া নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। আমরা চাই নির্বাচন কমিশন প্রভাবমুক্ত হয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ধোপাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

পাবনা জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মাহবুবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, প্রার্থীদের সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, ভোট চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়, তবে দলের জাতীয় অনুষ্ঠানে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কথা বলেছি— এটা আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে না। নিশ্চিত পরাজয় জেনেই তারা এমন মিথ্যাচার করছেন।

এমএসআর