ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষাস্থলে ব্যাপকভাবে বেড়েছে মানুষের চাপ। এ কারণে স্বাস্থ্যকর্মী ও হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজনকে এ ভিড় ঠেলে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে সেখানে বেশ কয়েক দিন ধরেই দেখা গেছে অব্যবস্থাপনার চিত্র। 

তবে এ অবস্থায় রোগীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে একদল স্বেচ্ছাসেবক। হাসপাতাল প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে কাজ শুরু করেছে ক্লিন আপ ময়মনসিংহ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। 

ময়মনসিংহ যুব নাগরিক সোসাইটির তত্ত্বাবধানে হাসপাতাল প্রশাসনের অনুমতিতে ক্লিন আপ ময়মনসিংহ সংগঠনের ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক এ উদ্যোগে অংশ নিয়েছে। তারা হাসপাতালের কোভিট ও এন্টিজেন টেস্টস্থলে আসা লোকজনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরিধান করা, অক্ষরজ্ঞানহীন বা অসহায়দের ফর্মপূরণ করে দেয়া, বিভিন্ন বুথের নির্দেশনা দেয়া ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করছে। ফলে গাদাগাদি ও বিশৃঙ্খলা অবস্থার অবসান হয়েছে। মানুষ নির্বিঘ্নে ও কম সময়ে দ্রুত টেস্ট করাতে পারছে। 

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ যুব নাগরিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান ফয়সাল জানান, হাসপাতালে করোনার পরীক্ষার জায়গায় গাদাগাদি ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে হাসপাতাল প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এ কাজ শুরু করেছি। স্বেচ্ছাসেবীরা ঝুঁকি সত্ত্বেও নাগরিকদের ও হাসপাতাল প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে কাজ করছে। এর ফলে ইতোমধ্যেই সেখানে সুশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। 

ক্লিন আপ ময়মনসিংহের জেলা কোর্ডিনেটর উৎসব সিং সাগর বলেন, আমরা দেখেছি এখানে আসা অনেক মানুষ নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে পারেন না। ফলে পরীক্ষাও দেরি হয়। এক্ষেত্রে আমরা তাদের ফর্মপূরণ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব যেন বজায় থাকে সেটিও দেখভাল করছি। এ কাজে ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক আগামী ৩ মাস প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করবে। 

স্বেচ্ছাসেবকদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. জাকিউল ইসলাম বলেন, রোগীদের সেবার সুবিধার্থে কাজ করার জন্য তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিল। পরে তাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে। আসলে কেউ যদি স্বেচ্ছাসেবার মনোভাব নিয়ে আসে তাহলে সেটি আমাদের জন্য সহায়কই হয়।

উবায়দুল হক/এমএএস