গত ২৯ জুলাই গাইবান্ধার পলাশবাড়ী বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন মহাসড়কে র‌্যাবের চেকপােস্ট ৪১০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেফতার হন রাজশাহীর গোদাগাড়ীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বুলবুল আহম্মেদ (৪০)।

সেই মামলার অনুসন্ধান প্রতিবেদন এসে পৌঁছায় গোদাগাড়ী মডেল থানায়। পরে থানা পুলিশ সেটি তদন্তে গিয়েছিল গোদাগাড়ী পৌর এলাকার ফাজিলপুর মহল্লার বাড়িতে। 

কিন্তু বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) বিকেলে তদন্তে খটকা লাগে পুলিশের। শেষে চালানো হয় তল্লাশি। একপর্যায়ে মিলে যায় ৩০ গ্রাম হেরোইন। বিকেল ৪টার দিকে হেরোইনসহ বুলবুল আহম্মেদের স্ত্রী শামীমা খাতুনকে (৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।

গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সন্দেহ হওয়ায় বুলবুলের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ওই সময় তিনি নিজেই সেখানে উপস্থিত ছেলেন।

ওসি আরও বলেন, একপর্যায়ে শোবার ঘরে স্টিলের আলমারির ভেতর থেকে ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। ওই নারীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হচ্ছে। ওই মামলায় শুক্রবার তাকে আদালতে নেয়া হবে। 

তিনি যোগ করেন, তার স্বামী রংপুরে মাদকসহ ধরা পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে ওই দিনই মাদক আইনে মামলা হয়েছে। তার নামে আরো মামলা থাকতে পারে। এছাড়া তার স্ত্রীর মাদক কানেকশন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জানা গেছে, পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক বুলবুল। কিন্তু রোগীর পরিবর্তে তিনি গন্তব্যে মাদক পৌঁছে দেন। তার কাণ্ডে সহযোগী একই উপজেলার আজিজুর রহমান (৩৫)। আজিজুরের পুরো শরীরজুড়ে টিউমার। এছাড়া তার ডান পা হাঁটু থেকে বিচ্ছিন্ন।

কৃত্রিম পা লাগিয়ে চলাফেরা করেন। কৃত্রিম পায়ে কৌশলে লুকানো থাকে মাদক। রোগী সেজে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে মাদকের চালান পৌঁছে দেন তারা।

সর্বশেষ গত ২৯ জুলাই গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে র‌্যাবের চেকপোস্টে তারা দুজনই আটকে যান। র‌্যাব তাদের অ্যাম্বুলেন্সটিও জব্দ করে। 

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএএস