নেত্রকোনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাহফুজুর রহমান লিটন (৫০) নামে এক ঠিকাদারের মৃত্যুর ১০ দিন পর তার স্ত্রী ফারজানা খানম মুক্তাও (৪৫) মারা গেছেন। শুক্রবার (০৬ আগস্ট) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। 

পরে ময়মনসিংহের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘টিম আলী ইউসুফ’ এর নারী টিমের সদস্যরা ফারজানা খানম মুক্তার মরদেহ গ্রহণ করে শহরের ভাটিকাশর গোরস্থানে নেন। সেখানে গোসল ও কাফনের কাপড় পরিধান করিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তার মরদেহ নেত্রকোনায় পাঠানো হয়।  
দুপুরে নেত্রকোনা পৌর শহরের সাতপাই কলেজ রোড এলাকার বাবার বাড়িতে ফারজানা খানম মুক্তার মরদেহ এসে পৌঁছায়। জুমার নামাজের পর তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা। এ সময় ফারজানা খানম মুক্তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।

স্বেচ্ছাসেমী সংগঠন ‘টিম আলী ইউসুফ’ এর প্রধান সমন্বয়কারী আলী ইউসুফ বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। আমরা সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফারজানা খানম মুক্তার মরদেহ গ্রহণ করে ভাটিকাশর গোরস্থানে নিই। সেখানে নারী সদস্যদের মাধ্যমে তার মরদেহ গোসল ও কাফনের কাপড় পরিধান করিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে নেত্রকোনায় পাঠাই।

নেত্রকোনার স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্য মো. সায়ন খান জানান, ফারজানা খানম মুক্তার মরদেহ দুপুরে নেত্রকোনায় পৌঁছালে আমরা তার মরদেহ দাফন করি। ১০ দিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নেওয়ার পর পূর্বধলা উপজেলার খলিশাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যান ফারজানার স্বামী মাহফুজুর রহমান লিটন। 

তিনি আরও বলেন, স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ স্ত্রীর কাছে গোপন রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজকে সেই স্ত্রীও করোনায় প্রাণ হারালেন। মাহফুজ-ফারজানা দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন বলে জানান সায়ন খান।

জিয়াউর রহমান/আরএআর