করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারঘোষিত লকডাউনের মাঝেই কুষ্টিয়া শহরের গড়াই নদীর কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু এলাকায় অবাধে চলছে ট্রলারে আনন্দযাত্রা। লকডাউনে যাত্রীবাহী সব ধরনের বাহন বন্ধ থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধিও।

শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু এলাকায় কঠোর লকডাউনের মধ্যেও ঘুরতে আসা দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়। নদীতে প্রায় ২০টি ট্রলার ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের নিয়ে আনন্দ যাত্রায় মেতে উঠে।

এছাড়া ১০টি ট্রলারে উচ্চশব্দে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে আনন্দভ্রমণ করতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে ব্যানার ঝুলানো ছিল। সবগুলো ব্যানারে ইংরেজিতে লেখা ০০৭, খেলা অ্যান্ড হবি, ওয়াও, ওমাগো এবং হট।

আরও দেখা গেছে, ট্রলারে ওঠা বেশির ভাগ যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই। আবার কিছু যাত্রীর মুখে মাস্ক দেখা গেলেও নিয়ম মেনে তা কেউ পরছেন না। ট্রলারে কারও মাঝে সামাজিক দূরত্বও নেই। ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি যাত্রী তোলা হয়েছে ট্রলারগুলোতে। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। 

সেখানে মাস্ক ছাড়া ঘুরতে আসা রুবেল রানা নামে দর্শনার্থীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সারাদিন মাস্ক পরতে ভালো লাগে না। মাস্ক নাক-মুখ ঢেকে রাখলে গরমে দম আটকাইয়া আসে। নিঃশ্বাস ছাড়তে পারি না। তাই মাস্ক পরি নামে মাত্র। কারণ মাস্ক না পরলে জরিমানা করে তাই বাধ্য হইয়া পরি।

স্থানীয় অনেকেই জানান, গড়াই নদী কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর পয়েন্টে প্রায় ৩০-৩৫টি ট্রলার চলাচল করছে। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখানে ঘুরতে আসছে। কিন্তু প্রশাসনের উপস্থিতি নেই। 

তারা আরও বলেন, সরকারের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে গড়াই নদীতে অভিযান পরিচালনা করা দরকার। ওদের থামানো যাচ্ছে না। প্রশাসন ঢিলেঢালাভাবে কাজ করে। তাই এ অবস্থা।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (করোনা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত) সবুজ হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

রাজু আহমেদ/এমএএস