রংপুরে আট দিনে ১০৪ জনের মৃত্যু
রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৭৩ জন। এ নিয়ে বিভাগে আট দিনে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৪ জনে।
রোববার (০৮ আগস্ট) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দিনাজপুরের পাঁচজন, রংপুরের দুইজনসহ পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁওয়ের একজন করে রয়েছেন। শনিবারের তুলনায় শনাক্ত চারগুণ বেশি বেড়েছে।
এ সময়ে বিভাগে ২ হাজার ৭৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে রংপুরের ২৮০ জন, দিনাজপুরের ৭৬ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৬৪ জন, গাইবান্ধার ৬৪ জন, কুড়িগ্রামের ৬২ জন, নীলফামারীর ৪৬ জন, লালমনিরহাটের ৪০ জন ও পঞ্চগড়ের ৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ২৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
নতুন করে মারা যাওয়া ১০ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ২৯৩ জন, রংপুরের ২৩২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ১৯৭ জন, নীলফামারীর ৭২ জন, পঞ্চগড়ের ৬৪ জন, লালমনিরহাটের ৫৭ জন, কুড়িগ্রামের ৫৭ জন ও গাইবান্ধার ৫২ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৩৭ জন।
বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৩৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ১৩ হাজার ৩৩০ জন, রংপুরে ১০ হাজার ৯৫৯ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ৫০৫ জন, গাইবান্ধায় ৪ হাজার ১৫৭ জন, নীলফামারীর ৩ হাজার ৯৩৫ জন, কুড়িগ্রামের ৩ হাজার ৯৫৫ জন, লালমনিরহাটের ২ হাজার ৪১৭ জন এবং পঞ্চগড়ের ৩ হাজার ৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এছাড়া সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হওয়ায় রংপুর বিভাগের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির চাপ বেড়েছে। সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য মিলছে না আইসিইউ শয্যা। হাসপাতালগুলোর অক্সিজেন চাহিদাও বেড়েছে। প্রতি দিন করোনার উপসর্গ নিয়ে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জনের মৃত্যু হচ্ছে। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের হিসাবে ধরছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর