সাভারের আশুলিয়ায় প্রাইভেটপড়াকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে একটি বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরদিকে, মোতালেব নামের অপর এক আসামির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বিকেলে তিনজন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ভিন্ন ভিন্ন আদালতে একজনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও বাকি দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। বিকেলে কোর্ট পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বিকেলে গ্রেফতার ৩ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে প্রিজনভ্যানে করে আদালতে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ। গত রাতে র‌্যাব-৪ আসামিদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করেন।

সোমবার (০৯ আগস্ট) দিবাগত রাতেই নিহতের ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ৩ জন এজহারনামীসহ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

আসামিরা হলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার চন্ডিপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম, একই গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে আ. রহিম বাদশা ও পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর গ্রামের মো. মফিজুর রহমানের ছেলে মো. আবু মোতালেব। রবিউল ও রহিম বাদশ সম্পর্কে মামা-ভাগনে।

কোর্ট পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, গ্রেফতার ৩ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে কাজী আশরাফুজ্জামানের আদালতে মো. মোতালেবের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। 

অপরদিকে, বিচারক রাজীব হাসানের আদালতে আসামি রবিউল ইসলাম ও বিচারক মনিরুজ্জামানের আদালতে মো. রমিহ বাদশা মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুলাই আশুলিয়ার নরসিংহপুরে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু বর্মণকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে তারই বন্ধুরা। তাকে হত্যা করে লাশ ৬ টুকরো করে স্কুলের আঙিনায় পুতে রাখে তারা। এরমধ্যে দেহের ৫ টুকরো স্কুলের আঙিনা ও বিচ্ছিন্ন মাথা ঢাকার আশকোনার একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করে তিনজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে আসামিদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

মাহিদুল মাহিদ/এমএএস