বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বানিয়াজান বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার স্পার আবারও ধসে গেছে। সোমবার রাতে যমুনা নদীর পানির প্রবল স্রোতে ওই স্পারটির উত্তর পাশে সিসি ব্লক ধসে যমুনায় বিলীন হয়ে যায়।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকালে ধসে পড়া স্পার মেরামত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলছে। এর আগে ৫ আগস্ট ওই স্পারটির ২০ মিটার অংশ ধসে যায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০ মিটার অংশ মেরামত শেষ করতে না করতেই আবারও একই স্থানের ৩০ মিটার অংশ ধসে গেল। সোমবার রাত ১২টার পর এই ভাঙন দেখা দেয় জানা গেছে।
     
২০০৩ সালে যমুনার ভাঙন রোধে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের আটাচর গ্রাম থেকে কাজিপুর উপজেলার ঢেকুরিয়া পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও দুটি স্পার নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, সোমবার রাত ১২টার দিকে হঠাৎ করেই স্পার ধসে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছুটা মেরামতের চেষ্টা করা হয়।

মঙ্গলবার সকাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন জিওব্যাগ ফেলে মেরামত করছেন। তবে স্পারটি স্থায়ী মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তারা দ্রুত এবিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।
 
ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল জানান, বাঁধের এই স্পারটি রক্ষা করা না গেলে এই ইউনিনের প্রায় ১৫টি গ্রামই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনার পানির প্রবল স্রোত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার অংশ ধসে গেছে। সংবাদ পেয়ে সেখানে ঠিকাদার পাঠানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

সাখাওয়াত হোসেন জনি/এমএসআর