ফরিদপুর সদর উপজেলার একটি জলাধারে আটকে পড়া বিরল প্রজাতির মিঠাপানির সেই কুমিরটির ঠাঁই হয়েছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে।

৯ আগস্ট বিকেলে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের জলিল মোল্লারডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দারা কুমিরটিকে আটক করেন। পরে সেখান থেকে বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তারা গিয়ে কুমিরকে উদ্ধার করেন।

ইতোপূর্বে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একটি পুরুষ কুমির থাকায় উদ্ধার হওয়া মাদি এই কুমিরকে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় সাফারি পার্কে বুধবার দুপুরে আনা হয়েছে।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, মিঠাপানির কুমির ২০০০ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আর্ন্তজাতিক সংস্থা, আইইউসিএন (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার) স্থানীয়ভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করে। বিলুপ্ত ঘোষণা করার আগে বাংলাদেশের জলাধারগুলোতে শেষবারের মতো এ ধরনের কুমির দেখা গিয়েছিল ১৯৬২ সালে।

তবে এর আগে ২০১৯ সালে পাবনা সদর উপজেলার দড়ি ভাউডাঙ্গা গ্রামে পদ্মা নদীতে আটকে পড়া একটি পুুরুষ কুমিরকে উদ্ধার করে গাজীপুরের সাফারি পার্কে আনা হয়েছিল। বর্তমানে পুরুষ ও মাদি এক হওয়ায় মিঠাপানির কুমিরের বংশবৃদ্ধির একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, মিঠাপানির এসব কুমির একসময় দেশের জলাশয়গুলোতে দেখা গেলেও এখন কিন্তু মহাবিপন্ন। তবে দু’ধাপে উদ্ধার হওয়া পুরুষ ও মাদি কুমিরের ঠাঁই সাফারি পার্কে হওয়ায় প্রজননে একটি আশার আলো তৈরি হয়েছে।

হস্তান্তর করার পর পার্কের একটি বেষ্টনীতে বর্তমানে কুমিরটিকে একাকী পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পর্যবেক্ষণ শেষে পুুরুষ কুমিরের সঙ্গে তাকে দেওয়া হবে।

শিহাব খান/এমএসআর