কক্সবাজারে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বমানের রেলস্টেশন : রেলমন্ত্রী
কক্সবাজার রেলস্টেশন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে বক্তব্য রাখছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন
পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে নির্মিত হতে যাচ্ছে বিশ্বমানের রেলস্টেশন। সরকার সারাদেশে রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় রেল সংযোগ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংরোড এলাকায় ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশন নির্মাণ কাজের উদ্ধােধনকালে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
বিজ্ঞাপন
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, পর্যটন নগরীতে যে উন্নয়ন চলছে তারই অংশ হিসেবে নির্মাণ হচ্ছে রেল যোগাযোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে এটি একটি। পুরোপুরি নির্মাণ কাজ শেষ হলে পর্যটন নগরী কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকরা বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পদ্মাসেতু এখন দৃশ্যমান। সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি রেল যোগাযোগও রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- রেলমন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলম, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদসহ অন্যান্যরা।
প্রথমে রেললাইন হবে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত। রামু হবে জংশন। আর সেখান থেকে একটি লাইন চলে যাবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। তখন ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনে পৌঁছা যাবে কক্সবাজারে। প্রস্তাবিত রেললাইনের ‘রুট এলাইনমেন্ট’ পিলার দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। উঁচু-নিচু টিলা, বনভূমি ও সমতল সবুজ প্রান্তর পেরিয়ে রেললাইনটি শেষ হবে সমুদ্র তীরের একেবারে কাছে। ২০২০-২২ সালের মধ্যেই সকল কাজ শেষ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ৯৯ দশমিক ৩ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ দশমিক ৯৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় মোট ১২৭ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইনকে ডুয়েল গেজ ট্রাক নির্মাণ করা হবে, যা পরে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে। এছাড়া রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সুবিধা আরও বাড়বে।
এসপি