জান্নাতুল খাতুন

কুষ্টিয়ার মিরপুরে জান্নাতুল খাতুন (৫) নামে এক শিশুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১১ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের মশান গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত শিশুর ফুফু জহুরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। 

নিহত জান্নাতুল খাতুন মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের মশান গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। এছাড়া অভিযুক্ত জহুরা একই এলাকার আনিরুল ইসলামের স্ত্রী ও জাহিদুল ইসলামের আপন বোন। 

পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাতুলকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন জহুরা খাতুন। যে বটি দিয়ে ওই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে তা জব্দ করা হয়েছে। 

নিহত শিশুর ফুফু জহুরা

এসপি আরও বলেন, বুধবার বিকেলে শিশু জান্নাতুল খেলাধুলা করতে বাড়ির পাশে তার ফুফু বাড়ি যায়। ফুফুর বাড়ি ও তার বাড়ি পাশাপাশি হওয়াই মাঝে-মধ্যেই ফুফু বাড়ি যেত শিশুটি। বুধবার বিকেলে তার বাড়িতে গেলে জহুরা
শিশুটিকে বলেন, মাংস রান্না প্রায় শেষ পর্যায়ে, তুমি রান্না ঘরে বসো, আমি প্লেট নিয়ে আসি। তখন ওই শিশু রান্না ঘরের চুলার পাশে বসে। কিছুক্ষণ পর বটি নিয়ে এসে এক কোপে গলা কেটে হত্যা করেন জান্নাতুলকে। এরপর বাজারের ব্যাগে ভরে বাড়ির পাশে মরদেহ ফেলে আসেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, রাতে ৯৯৯ ফোন পাওয়ার পর মিরপুর থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ আমরা তদন্ত শুরু করি। শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছিল। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছিল। এ ঘটনায় সকালে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটির বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

রাজু আহমেদ/এসকেডি