ঝিনাইদহের মহেশপুরে একসঙ্গে ফাঁস দিয়ে প্রেমিক যুগল আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (১৪ আগস্ট) সকালে মহেশপুর উপজেলার স্বরূপপুর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত প্রেমিক যুগল চাপাতলা গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে সাঈদ হোসেন (১৭) ও একই ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের শাহজামালের মেয়ে সোহানা খাতুন (১৬)। 

পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের কৃষক আলামিনের রান্নাঘরে তার শ্যালিকা সোহানা খাতুন ও চাচাতো ভাই সাঈদের মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

আলামিনের শ্যালিকা সোহানা তাদের বাড়িতে থাকত। কয়েক মাস ধরে চাচাতো ভাই সাঈদের সঙ্গে সোহানার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।

সোহানা খাতুনের বড় বোন শেলি খাতুন ঢাকা পোস্টকে জানান, তার ছোট বোন কাঞ্চনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। করোনাকালীন স্কুল বন্ধ থাকায় দেড় মাস আগে তার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। শুক্রবার রাতে খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমাতে যায় সে। সকালে রান্না করতে গিয়ে দেখি, সোহানা ও সাঈদ একইসঙ্গে ঝুলছে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

চাপাতলা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মমিন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাপাতলা গ্রামের আলামিনের শ্যালিকা সোহানা ও তার চাচাতো ভাই সাঈদের মধ্যে এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সোহানা দেড় মাস ধরে আলামিনের বাড়িতে ছিল। তাদের প্রেমের সম্পর্ক পরিবারের লোকজনের কাছে জানাজানি হলে দুই পরিবারের লোকজনই তাদের প্রেমকে মেনে নিতে পারেনি। হয়তো এই কারণে দুজন একসঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আলামিনের রান্না ঘর থেকে মৃতদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধারণা করা হচ্ছে, এটা আত্মহত্যা। সদর হাসপাতাল মর্গে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

আব্দুল্লাহ আল মামুন/এসপি