পাটুরিয়ায় আটকা ৬ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক
পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ফেরি পারাপারে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। এতে কমে গেছে ফেরির ট্রিপ সংখ্যাও। যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস ও জরুরি পণ্যবহী গাড়ি পারাপার করছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ।
এ কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ৬ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ফেরিঘাট এলাকার জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকামুখী সড়কের আরসিএল মোড় ছাড়িয়ে গেছে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি।
বিজ্ঞাপন
ঘাটের দুটি ট্রাক টার্মিনাল ভর্তি সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক ও শতাধিক বাস নৌপথ পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। তবে দূরপাল্লার বাস ও ছোট গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌপথ পারাপার হতে পারছে। ভোগান্তি ছাড়াই ফেরিতে যাত্রীরা নদী পার হচ্ছেন।
ট্রাকচালক দুলাল মিয়ার সঙ্গের কথা হলে তিনি বলেন, গতকাল রাত ২টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে আসছি। এখনও ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাই নাই। সারা বছরই আমাগো এই ঘাটে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমাদের এই ভোগান্তি ঘাট কর্তৃপক্ষ দেখেও দেখে না।
বিজ্ঞাপন
আরেক ট্রাকচালক হালিম বলেন, ঘাট এলাকায় দীর্ঘ সময় বসে থেকে আমাগো খরচ বাড়ছে। লগে তেমন টাকাও নাই। আর ফেরিঘাটে ভালোমানে খাবার হোটেল, বসার জায়গাও নাই। সারাক্ষণ গাড়িতে বসে থাকতে কারও ভালো লাগে ভাই। ঘাট এলাকায় ১৫ ঘণ্টা ধরে আটকা আছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জিল্লুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে নদীতে স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে ফেরি পারপারে সময় বেশি লাগার কারণে ফেরির ট্রিপও কমে গেছে।
তিনি বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চারটি ফেরি মাওয়া ঘাট থেকে এ নৌপথে আনা হয়েছে। নৌপথে ছোট বড় মিলে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। আমরা ফেরি সার্ভিস স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।
সোহেল হোসেন/এমএসআর