দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত দৌলতদিয়া ঘাটে আজও পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৪ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক, কার্ভাডভ্যান ও যাত্রীবাহী বাস।

পদ্মায় তীব্র স্রোত ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল সীমিত করায় এই রুটে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ পড়েছে। ফলে ফেরি পারের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘাটে আসা যানবাহনগুলোকে।

শনিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অবস্থান করে দেখা যায়, নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করছে শত শত যানবাহন। এইসব যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যায় বেশি।

এই সকল ট্রাক রাত থেকেই ঘাট এলাকায় আটকে আছে। দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ২০০ যানবাহন পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকে আছে। দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থেকে ভোগান্তিতে পড়ছে চালক ও চালকের সহকারীরা।

অন্যদিকে ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৩.৫ কিলোমিটার পেছনে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে কল্যাণপুর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ২০০ অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাককে আটকে রাখা হয়েছে।

এই ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা এই ট্রাকগুলো ২৪ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা এই গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে আছে। দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকায় চালক ও সহকারীদের পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে।

এই সব ট্রাক চালকরা অভিযোগ করে বলেন, তাদের খাওয়া-দাওয়া, গোসল, বাথরুম করার জায়গা নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই।রাস্তায় দিনের পর দিন আটকে থাকতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকায় তারা সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারছি না।

এ সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘাটে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক ঢাকা পোস্টকে বলেন, পদ্মা নদীতে এখন স্রোত বেড়ে গেছে। পাশাপাশি ফেরিস্বল্পতার কারণে ঘাটে চাপ পড়েছে। সেই সঙ্গে অন্য রুটের গাড়িও এই রুটে আসছে। সব মিলিয়ে এই যানজট তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন(বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ট্রিপ সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। ফলে ঘাটে চাপ পড়ছে।

মীর সামসুজ্জামান/এমএসআর