একই ব্যক্তিকে সিনোফার্মের পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পুশ
গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এক মাসের ব্যবধানে একই ব্যক্তিকে দুই ধরনের করোনাভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) দেওয়া হয়েছে। রাকিবুল হাসান নামে ওই ব্যক্তি বলেন, প্রথম ডোজে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হলেও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে তাকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন বলছেন, ওই ব্যক্তির নিজের ভুলেই এ ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। তবে সবার মতো তারও একই কোম্পানির টিকা নেওয়া উচিত ছিল।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টিকা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। দুই ধরনের টিকা নেওয়া রাকিবুল হাসানকে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশিক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
গঙ্গাচড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত রাকিবুল হাসান জানান, ১২ জুলাই একই কেন্দ্রে তিনি টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন। তখন তাকে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ নেওয়ার ১ মাস তিন দিন পর আজ সকালে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য ওই কেন্দ্রে যান। সেখানে তাকে সিনোফার্মের টিকার দ্বিতীয় ডোজ না দিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার (কোভিশিল্ড) দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়।
টিকা গ্রহণের পর এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যকর্মীরা রাকিবুলকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলে তিনি দাবি করেছেন। বিষয়টি জানার পর তিনি উদ্বিগ্ন হলেও স্বাস্থ্যকর্মীরা বিষয়টি এড়িয়ে যান। তাকে জানানো হয় এতে সমস্যা হবে না। এ অভিযোগের ব্যাপারে টিকা প্রদান কায়ক্রমে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, টিকা নিতে আসা ওই ব্যক্তির সঙ্গে কোনো কাগজপত্র ছিল না। এর আগে কোন কোম্পানির টিকা নিয়েছিলেন, তাও বলতে পারেনি। তার নিজের ভুলের কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।
রাকিবুল হাসান টিকা নেওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশিক্ষণ পর্যবেক্ষণ ছিলেন বলেও জানান সিভিল সার্জন। তিনি আরও বলেন, আশা করছি তেমন কোনো সমস্যা হবে না। কারণ দুটোই করোনার প্রতিষেধক টিকা। শুধু কোম্পানি ও উৎপাদনকারী দেশ ভিন্ন। নিয়ম হচ্ছে একই কোম্পানির টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর পরবর্তী সময়ে ওই একই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া। কিন্তু একটু ভুলের কারণে রাকিবুল দুই কোম্পানির টিকার ডোজ দেওয়া হয়।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর