রংপুর নগরের চওড়ারহাট রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু পুড়ে ছাই

নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছি। হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠে। নিমিষেই ঘরের সবকিছু পুড়ে যায়। কিতাব, হাদিসের বই, কাপড়, লেপ-তোষক সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই শীতে আমাদের খুব কষ্ট হবে। অশ্রুসিক্ত চোখে কথাগুলো বলছিলেন মাদরাসা ছাত্র বাবু। 

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চওড়ারহাট রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে মাদরাসার হেফজ বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

ওই ছাত্র আরও বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে হেফজ বিভাগে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের ঘটনায় মাদরাসার ব্যাপক ক্ষতি হলেও রক্ষা পেয়েছে নামাজে থাকা ৩৫ জন শিক্ষার্থী। শুধু হেফজ বিভাগের কক্ষটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সঙ্গে আমাদের পোশাক, বিছানা, কিতাবসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও শীতের প্রকোপে রাতে ঘুমাতে কষ্ট হচ্ছে বলে জানান মাদরাসা ছাত্ররা। মাঘের এই শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে একটু উষ্ণতার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন। 

এদিকে, মারিাসায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রংপুর জেলা প্রশাসন। শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় শিক্ষার্থীদের শুকনো খাবার ও শীতবস্ত্র দেওয়া হয়।

  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে

রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, খবর পেয়ে ডিসি স্যারের নির্দেশে ওই মাদরাসাতে গিয়ে অসহায় ওই শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা হয়েছে। এর মধ্যে শুকনো খাবার ও ২০টি কম্বল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় অন্যান্য সহযোগিতাও করা হবে।

মাদরাসার অধ্যক্ষ নাজমুল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হেফজ বিভাগ। এতে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সময় সবাই নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।  

উল্লেখ্য, চওড়ারহাট রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ্ বোডিংটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি নগরের ময়নাকুটি বেনুঘাট এলাকায় অবস্থিত। 

এসপি