বিএনপির কর্মী সফিক মিয়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ২টার দিকে উপজেলার গয়াহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- বিএনপি কর্মী সফিক মিয়া (২২)। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি চরগাঁও গ্রামের মন্নাফ মিয়ার ছেলে। বাকি আহতরা একই গ্রামের জব্বার মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া (৩৫), নুর ইসলামের ছেলে নাহিদ মিয়া এবং সুজাপুর গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা জাহেদ রুবেল। আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরী জানান, তিনি গয়াহরি গ্রামে রবিন্দ্র দাশ মেলাইর বাড়িতে রাতে সংক্রান্তির দাওয়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেলের ভাই শায়েল চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হয়। তার সঙ্গে কুশল বিনিময়কালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাহেল চৌধুরী সেখানে পৌঁছায়। 

এ সময় রাহেলের সঙ্গে তার  কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার সমর্থক সফিক মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার পেটের ভুড়ি বেরিয়ে যায়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সময় রাহেল তার প্রাইভেকারটি ভাঙচুর করেছে। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে উভয় পক্ষের লোকজনের সংঘর্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হন।

এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  

নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংঘর্ষে জড়িত ২ বিএনপি সমর্থককে আটক করা হয়েছে

এসপি