ইভিএমে কিভাবে ভোট দিতে হয় তা ভোটারকে শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে

বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনার মধ্যদিয়ে সকাল ৮টা থেকে ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার ভোটগ্রহণ চলছে।  তবে প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় শিকার হচ্ছেন ভোটাররা। বিশেষ করে নারী ও বয়স্ক ভোটাররা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বেশি।

আলাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেয়া ষাটোর্ধ্ব হারুন জানান, আগে কখনও ইভিএমে ভোট না দেওয়ায় এবার ভোট দিতে অসুবিধা হইছে। অনেক চেষ্টা করে না পেরে অন্যের সাহায্য নিয়ে ভোট দেন তিনি।

উত্তর করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার লাইনে দাঁড়ানো খোদেজা আক্তার জানান, তিনিসহ অন্য নারীরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। খুব ধীর গতিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ভোট দেওয়ার জন্য এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা কষ্টকর।

আতার্তুক মডেল হাই স্কুল কেন্দ্রের নারী ভোটার ছেমন আরা জানান, ইভিএম মেশিনে কিভাবে ভোট দিতে হয় আমরা জানি না। ভোটের আগে নাকি ইভিএমে কিভাবে ভোট দিতে হয় শেখানো হইছে। আমরা জানতে না পারায় শেখা হয়নি।

রামানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, নৌকার এজেন্টরা ভোট কক্ষের গোপন ব্যালট রুমে অবস্থান নিয়েছেন। 

নৌকার এজেন্ট খালেদা আক্তার ও জাকির হোসেন জানান, ভোটারদের সহযোগিতার জন্যে বার বার গোপন কক্ষে আসতে হচ্ছে। ভোটাররা ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার পর বাকী পর্যায়ের সহযোগিতার জন্য আমরা এ কক্ষে রয়েছি।

আবদুল কাদের নামে এক ভোটার জানান, তিনি ডালিম মার্কায় ভোট দিতে চাইলে ভেতরে থাকা এজেন্টের লোকটি আমাকে সহযোগিতার কথা বলে অন্য প্রার্থীর উটপাখি মার্কায় ভোট দিয়ে দেন।

গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার গোলাম কিবরিয়া জানান, ভোটারদের কাছে ইভিএম নতুন ধারণা। তাই সময় ও বিড়ম্বনা বেশি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রচারণা কম হওয়ায় নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে নানাভাবে প্রচারণা, প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোটাররা তখন সাড়া দেয়নি। তারপরও কোনো ভোটার কিছু না বুঝলে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের সহায়তা নিতে পারেন। কোনো প্রার্থীর এজেন্ট গোপন ব্যালট কক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না বলেও জানান তিনি।

এসপি