বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশের মামলায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বাস মালিক সমিতির সভাপতিসহ ৯ নেতাকর্মী। আদালত থেকে জামিনের কাগজ বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালে বিকেল ৫টার দিকে তারা ছাড়া পান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোমিন উদ্দিন কালু। একই সঙ্গে কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন, ইকতিয়ার উদ্দিন, আব্দুস সালাম মনু, আলো গাজী, কবির তালুকদার, হুমায়ুন কবির হাওলাদার, ইলিয়াছ, জমির উদ্দিন এবং নাসির উদ্দিন।

এদের মধ্যে ইকতিয়ার উদ্দিন, সালাম মনু, আলো গাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি পুলিশের দুটি মামলার আসামি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম ঝন্টু বলেন, দুটি মামলায় আজ ১২ জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে পুলিশের মামলায় ৯ জন এবং ইউএনওর মামলায় ৩ জনকে। কিন্তু ইউএনওর মামলায় জামিনপ্রাপ্ত তিন আসামি পুলিশের মামলারও আসামি। ফলে ১২ আসামির জামিন মঞ্জুর হলেও মূলত ৯ ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জামিনে মুক্ত হওয়ার পর নেতাকর্মীরা জেলগেটের সামনে শ্লোগান দিয়ে মিছিল করেন। এর আগে তাদের স্বজনরা গেটে এসে অপেক্ষা করতে থাকেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহর আদালতে ২১ জনের জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এর মধ্যে ১২ জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

মূলত ১৮ আগস্ট বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের সামনে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে ইউএনও এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

ওই দিন ইউএনওর নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের গুলিতে আওয়ামী লীগের ৬০ জন গুলিবিদ্ধ হন। চোখ নষ্ট হয়ে যায় ৩ জনের। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার পরে ২২ জনকে গ্রেফতার করে শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর