২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজশিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার চার বছর পেরিয়ে গেলেও কার্যকর হয়নি রায়। এতে হতাশ হয়ে পড়েছে রুপার পরিবার। 

আলোচিত এ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে তাড়াশ উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারের পাশে মানববন্ধন করেছে তার পরিবার।

মানববন্ধনে নিহত রুপার মা হাসনা হেনা খাতুন বলেন, চার বছর পেরিয়ে গেলেও রায় কার্যকরে কোনো ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি না। আমার একটাই দাবি, আসামিদের রায় কার্যকর করা হোক। মেয়ে হারানোর বেদনা যে কত কষ্টকর সেটা আমিই বুঝি, অন্য কোনো মায়ের বুক যেন এভাবে খালি না হয়।  

এ সময় রুপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান বলেন, নিম্ন আদালতে ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। এরপর চাঞ্চল্যকর এ মামলায় শুনানি আর শুরু হয়নি। নিম্ন আদালতে দ্রুত সময়ে মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন। এতে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছিলাম। কিন্তু উচ্চ আদালতে আসামিদের আপিলের পর মামলাটি গত ৪ বছর ধরে ঝুলে থাকায় আমরা হতাশ। 

তিনি আরও বলেন, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ছোঁয়া পরিবহনের বাসটি আমাদের দেওয়ার যে আদেশ আদালত দিয়েছিলেন তাও কার্যকর করা হয়নি। চার বছর হলো অপেক্ষায় আছি, কবে দেখব আমার বোনের হত্যাকারীদের ফাঁসি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে রুপাকে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে পঁচিশ মাইল এলাকার রাস্তায় ফেলে দেয় আসামিরা। পরে মধুপুর থানা পুলিশ রুপার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনা ওই সময় দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। এরপর ২৭ আগস্ট নিহতের বড়ভাই হাফিজুর রহমান সংবাদ মাধ্যমে লাশের ছবি দেখে রুপাকে শনাক্ত করেন। এরপর ৩১ আগস্ট রুপার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

শুভ কুমার ঘোষ/এসকেডি