জজ মিয়া

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জজ মিয়া (৩৯) নামে এক মুদি দোকানির শরীরে এক মিনিটের ব্যবধানে দুই ডোজ করোনা টিকা পুশ করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিতে যান জজ মিয়া। এ সময় এক মিনিটের ব্যবধানে তার শরীরে দুটি টিকা পুশ করেন হাসপাতালের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) আলমগীর হোসেন।

জজ মিয়া মোহনগঞ্জ পৌরশহরের আল মবিন রোড এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গত ২৭ জুলাই তিনি করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছিলেন।

জজ মিয়া বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার  দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনে টিকা নিতে যাই। টিকা প্রদানকারী আলমগীর হোসেন প্রথমে আমার ডান হাতে একটি টিকা পুশ করেন। এরপর তিনি টিকার কাগজ দেখতে চান। কাগজপত্র দেখানোর পর ডান হাতের একই স্থানে তিনি আরেকটি টিকা পুশ করেন।

দুটি টিকা দেওয়ায় খুবই দুশ্চিন্তায় ভুগছিলাম। এতে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে কি না তা জানতে হাসপাতালের টিএইচও নূর মোহাম্মদ শামছুল আলমের কাছে যাই। তবে তিনি আমাকে কোনো ধরনের পরাশর্ম না দিয়ে উল্টো আমার প্রতি রেগে গিয়ে বলেন, এই টিকা এন্টিভাইরাস। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে আমাকে ২৪ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখা হবে বলে জানান তিনি।

জজ মিয়া বলেন, টিকা নেওয়ার পর বিকেল থেকে আমি জ্বর ও মাথা ব্যথায় ভুগছি। ২৪ ঘণ্টা আমাকে অবজারভেশনে রাখার কথা থাকলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার কোনো খোঁজখবর নেয়নি। এতে ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি, জানি না কী হয়।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর মোহাম্মদ শামছুল আলমের মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।

এ বিষয়ে নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া বলেন, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও টিকা গ্রহণকারীসহ সবাইকে সতর্ক থাকা উচিত। এমনটা হলে টিকা গ্রহণকারীকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার কথা। আমি এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলব।

জিয়াউর রহমান/আরএআর/জেএস