শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝিরঘাটকে ফেরি চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে নাব্য সংকট ও রাস্তা প্রসস্ত না হওয়ায় আপাতত মাঝিরঘাট থেকে ফেরি চলাচল শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ)। 

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিআইডব্লিটিএর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হারিস আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, ঘাটের যাবতীয় কাজ শেষ করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু নদীর নাব্য সংকট ও গাড়ি যাতায়াতের জন্য রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে ঘাট উদ্বোধন করা যাচ্ছে না। যাতে ফেরি চলাচল করতে পারে সেই কাজটি করা হবে।

এর আগে গত ২০ আগস্ট থেকে জাজিরার মাঝিরঘাটে ফেরি চলাচলের জন্য পন্টুন বসানো ও ফেরি ওঠার রাস্তার কাজ করে বিআইডব্লিউটিএ। গতকাল বুধবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় পন্টুন বসানোর কাজ সম্পন্ন করা হয়। বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে ও শুক্রবার থেকে পুরোদমে ফেরি চলাচলের কথা ছিল। কিন্তু নাব্য সংকটের কারণে ফেরি চালানো যাচ্ছে না। 

বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিটিএ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে। যে কারণে ফেরি চলাচলে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে ফেরি পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা দিচ্ছে।  পদ্মা সেতুর শিমুলিয়া প্রান্তে গত ২০ ও ২৩ জুলাই ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারে এবং ৯ ও ১৩ আগস্ট ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করে রো রো ফেরি। এতে করে গত ১৮ আগস্ট থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ফেরি বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের লোকজন বাসে করে বাংলাবাজার ঘাটে নেমে সেখান থেকে লঞ্চে পাড় হয়ে ঢাকা যাচ্ছে। এছাড়া ছোট যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স শরীয়তপুরের চাঁদপুর বা দৌলতদিয়া দিয়ে ঘুরে যাচ্ছে। ফলে জরুরি সেবার যানবাহন পারাপারের জন্য জাজিরার মাঝিরঘাটে ফেরিঘাট নির্মাণ করা হয়েছে।

এর আগে পদ্মা নদীর বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ফেরি চলাচল নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যৌথ সার্ভে সম্পন্ন হয়। সার্ভের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদ্মা নদীতে যে স্রোত রয়েছে তা না কমা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তাই জরুরি সেবা চালু করার লক্ষ্যে গত ১৯ আগস্ট সার্ভে টিম শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট পরিদর্শন করে এবং পন্টুন বসানোর স্থান নির্বাচন করে। নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি নতুন রো রো ফেরির পন্টুন মাঝিরঘাটে সংযুক্ত করা হয়। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর