নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছামিউল ইসলামের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (১৫)। অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় কিশোরীর বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছামিউল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ দণ্ড দেন। এ সময় তাকে সহযোগিতা করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর ফকিরা ইউনিয়নের দশম শ্রেণির এক কিশোরীর বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছিল। বর বসুরহাট পৌরসভার বাসিন্দা এবং দক্ষিণ আফ্রিকাপ্রবাসী যুবক (৩২)। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বর আসার আগেই অভিযান চালান আদালত।

পরে আদালত বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেন এবং মেয়ের বাবা মো. মিজানুর রহমান মিন্টুকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পাশাপাশি আদালত মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না এবং ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বর ওই কিশোরীকে বিবাহ করবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছামিউল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, কনের পিতা তার মেয়ের বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন বলে স্বীকার করেন। তারপর ২০০৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জিয়াউল হক মীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাল্যবিবাহ হচ্ছে, এই তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কনের বাড়িতে ম্যাজিস্ট্রেট এসেছে শুনে বর আর আসেননি। সেখানে উপস্থিত সবাইকে বাল্যবিবাহের কুফল ও এর আইনগত ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে।

হাসিব আল আমিন/এনএ