চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যশোরের কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম। শনিবার যশোর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। 

লিখিত বক্তব্যে পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কারো কাছ থেকে কোনো চাঁদাবাজি করিনি। আমার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ উঠছে, তা নিজেই বুঝতে পারছি না।

নিজেকে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ শাহীন চাকলাদারের লোক দাবি করে রফিকুল ইসলাম বলেন, শাহীন চাকলাদার কেশবপুরের সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছে, যা সত্য নয়।

চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠছে কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের গত মেয়াদে কেশবপুরে ত্রাস ছিল হাতুড়ি ও গামছা বাহিনী। সেসব বাহিনীর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মফিদুল ইসলাম। তার দুই ভাই আজিজ ও শরিফুল মূলত বাহিনী চালাতেন। তখন আমি তাদের বিরোধিতা করেছি। সেই জেরে তারা হয়তো আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা করতে পারেন। আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো ভিত্তিহীন।

গত ১৭ আগস্ট কেশবপুর উপজেলার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৌর মেয়র রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত ২৩ আগস্ট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মফিদুল ইসলাম দাবি করেন, মেয়রের লোকজন জোর করে তার ডিস ব্যবসা দখল করে নিয়েছেন। এরপর মেয়র রফিকুল ইসলাম শনিবার যশোর প্রেস ক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন।

জাহিদ হাসান/আরএইচ