বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার টিকা বিক্রির দায়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ইপিআই পোর্টার (ভ্যাকসিন বাহক) জাকির হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় জিডিও করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন।

প্রাথমিকভাবে ইপিআই পোর্টার জাকির টাকার বিনিময়ে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে করোনার ৩১ পিস সিনোফার্ম টিকা দিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এর ভিত্তিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাইনুল ইসলাম মোনাসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মেডিকেল অফিসার (রোগনিয়ন্ত্রণ) ডা. জাবেদ ইকবাল ও পরিদর্শক খলিলুর রহমান।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন জানান, গত ১৯ আগস্ট উপজেলার মরাদোন গ্রামে ও ২২ আগস্ট ঠাকুরচর গ্রামে টাকার বিনিময়ে বাড়িতে গিয়ে করোনার সিনোফার্ম টিকা দিয়েছে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই পোর্টার জাকির।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ডা. নাইমুল ইসলাম মোনাস বলেন, প্রাথমিকভাবে জাকির হোসেন বিষয়ে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। জাকিরের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছেন কি না, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন বলেন, ভ্যাকসিন বাহক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও ডিজি বরাবর চিঠি পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে যদি তার সঙ্গে আর কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় গঠিত তদন্তের রিপোর্ট মঙ্গলবার আমাদের কাছে পৌঁছার কথা রয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এত সতর্কতার পরও এমন ঘটনা দুঃখজনক। বিষয়টি জানার পরই আমি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিই। 

শরীফুল ইসলাম/এনএ