ভাড়া না পেয়ে ঘরে তালা দেওয়ায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে পিবিআই
নিহত শিশু নেলিহা
খুলনায় টাকা না পেয়ে ভাড়াটিয়ার ঘরে তালা ও বন্ধ ঘরে পানিতে ডুবে ছয় মাসের শিশু মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক ড. আতিকুস সামাদ এ আদেশ দেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সকালে নিহত শিশু নেলিহার বাবা ইমদাদুল হক সাগর বাদী হয়ে মুখ্য মহানগর হাকিম ড. আতিকুস সামাদের আদালতে মামলা করেন। মামলায় বাড়িওয়ালা কুয়েত প্রবাসী নূর ইসলাম ও তার বাবা নওশের আলীকে আসামি করা হয়।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, মাত্র এক মাসের বাড়ি ভাড়া না পেয়ে বাড়িওয়ালার বাবা নওশের আলী তাদের ঘরে অনাধিকার প্রবেশ করে প্রাণনাশের হুমকি দেন। ঘরে থাকা আসবাবপত্র ক্ষতিসাধন করে প্রধান গেটে তালা মেরে দেন। ঘর তালাবদ্ধ থাকায় শিশু নেলিহা পানিতে ডুবে গেলেও তাকে হাসপাতালে নিতে পারেননি তারা। যা চিকিৎসা কাজে বাধা ও হত্যার শামিল।
বিজ্ঞাপন
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এ ব্যাপারে লবণচরা থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরে তারা জানতে পারেন পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেনি। আদালত বাদীর অভিযোগ পর্যালোচনা করে মামলা গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, এক মাসের ভাড়া বাবদ বকেয়া মাত্র চার হাজার টাকা দিতে না পারায় গত ১০ জানুয়ারি খুলনা নগরীর লবণচরা থানার রিয়াবাজার এলাকায় কাঠমিস্ত্রি ইমদাদুল হকের ঘরে তালা মেরে দেন বাড়িওয়ালা। গত ১৩ জানুয়ারি ছয় মাসের শিশু কন্যা নেলিহা বালতির পানিতে ডুবে গেলে ঘর তালাবদ্ধ থাকায় তাকে হাসপাতালে নিতে না পারায় শিশুটির করুণ মত্যু হয়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে। মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন। বাদীকে মামলা পরিচালনায় সহায়তা করে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা।
আরএআর