এ কেমন অমানবিকতা!
জেলা সদর হাসপতালে ভর্তি শান্তা আক্তার
তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ছেলের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে অমানবিক শাস্তি পেতে হয়েছে তার মাকে। প্রথমে হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন, এরপর ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে করা হয় রক্তাক্ত জখম।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বিরাসার এলাকায় এমন অমানবিক ঘটনাটি ঘটে। চাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে শান্তা আক্তার (২৫) নামের ওই গৃহবধূ এখন হাসপাতালের বিছানায় অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। শান্তা সদর উপজেলার শিলাউর গ্রামের রাসেল মিয়ার স্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
মারামারির ঘটনায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমায়ূন চাপ দিচ্ছিলেন। এর জের ধরে রাস্তায় শান্তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করেছে।
রোকসানা বেগম, শান্তার মা
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে শান্তার ছোট ছেলের সঙ্গে শান্তার আপন চাচা হুমায়ূন মিয়ার ঝগড়া হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। ওই ঘটনায় হুমায়ূনের বিরুদ্ধে মামলা করে শান্তার পরিবার। কিন্তু মামলাটি তুলে নিতে চাপ দিয়ে আসছিলেন হুমায়ূন। এর জেরে রোববার সন্ধ্যায় শান্তা চিকিৎসক দেখানোর জন্য আত্মীয়ের বাসা থেকে জেলা শহরে আসার সময় বিসারাস এলাকায় তার পথরোধ করেন হুমায়ূন ও তার সহযোগীরা।
বিজ্ঞাপন
পরে শান্তার হাত-পা বেঁধে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে শরীরের বিভন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করা হয় শান্তাকে। এ সময় শান্তার চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ছুটে এলে হুমায়ূন ও তার ঘটনাস্থল থেকে সহযোগীরা পালিয়ে যান। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে শান্তার মা রোকসানা বেগম অভিযোগ করে জানান, মারামারির ঘটনায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমায়ূন চাপ দিচ্ছিলেন। এর জের ধরে রাস্তায় শান্তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করেছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিম বলেন, ঘটনাটি শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনএ