চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
নওগাঁর নিয়ামতপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মিঠুন (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (০৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের পুংগীনিবদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত মিঠুন নওগাঁর পোরশা উপজেলার মশিদপুর গ্রামের হারুন-অর-রশিদের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ১টার দিকে নিয়ামতপুরের পুংগীনিবদা গ্রামে পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে মিঠুনসহ কয়েকজন চুরি করতে আসে। এ সময় মিঠুন একা গ্রামের মৃত শুকুরের ছেলে দিপেনের বাড়িতে প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন। শব্দ পেয়ে বাড়ির সদস্যদের ঘুম ভেঙে গেলে তারা ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এ সময় বাড়ির আঙ্গিনায় মিঠুন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাকে ধরে বেঁধে বাড়ির বাইরে নেওয়া হয়। হৈচৈ শুরু হলে মিঠুনের সহযোগীরা পালিয়ে যান। মিঠুনের বিরুদ্ধে এলাকায় গরু, মোটরসাইকেল, মুরগি, ছাগল, মোবাইল ও ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। কিছু দিন আগে মিঠুন জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
পুংগীনিবদা গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বলেন, মিঠুন ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। গরু, মোটরসাইকেল, মোবাইল ও ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র চুরি ও ছিনতাইসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যে তারা করে না। বাড়ির মালিক দিপেন যখন মিঠুনকে বেঁধে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসেন তখন গ্রামের অনেকে ক্ষোভের বসে তাকে মারধর করে। এতে মিঠুন অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে মারা যায়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, শুনেছি ওই এলাকায় মিঠুনের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আছে। তাকে আটকের পর গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী। এতে একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার মারা যাওয়ার খবর থানায় ফোন করে জানানো হয়।
তিনি আরও জানান, নিহত মিঠুনের মরদেহ মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
আরএআর