স্বাস্থ্য বিভাগের সুরক্ষা অ্যাপে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য স্থানীয় একটি কম্পিউটারের দোকানে নিবন্ধন করতে যান মাদ্রাসাশিক্ষক। এ সময় অনলাইনে জানতে পারেন, তিনি মৃত। এ ঘটনায় বিস্মিত হয়ে যান তিনি। কীভাবে মৃত ব্যক্তির তালিকায় তার নাম উঠল, কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি।

ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মৃত আব্দুল জলিল মোল্লার ছেলে। তিনি বালিয়াকান্দির একটি মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০০৮ সালে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পেয়েছিলেন। আগে কখনো তার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের প্রয়োজন পড়েনি। ভোটের সময়ও পরিচয়পত্র ছাড়াই ভোট দিয়েছেন।

সম্প্রতি করোনার টিকা নেওয়ার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে তার নাম নিবন্ধন করতে তিনি স্থানীয় কম্পিউটারের দোকানে যান। সেখানে বারবার তার পরিচয়পত্র ভুল দেখাচ্ছিল। তার কোনো তথ্য না আসায় তিনি বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে খোঁজ নিতে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, নির্বাচন অফিসের সার্ভারে মৃতের তালিকায় রয়েছে তার নাম। তাকে অনেক আগেই মৃত দেখানো হয়েছে। বিষয়টি দেখে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে যান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নিজামউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলায় এমন সমস্যা ১৩ থেকে ১৪ জনের পাওয়া গেছে। পরে তারা ইউপি চেয়ারম্যান থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে এলে আমরা সার্ভার থেকে তাদের তথ্য পরিবর্তন করে দিয়েছি। এরপর তারা সুরক্ষা অ্যাপে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পেরেছেন।

তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তাদের মৃত দেখানো হয়েছে। মৃত ভোটারদের বাদ দেওয়ার সময় হয়তো করণিক কিছু ভুল হয়েছিল। এসব ভুল দ্রুত সংশোধনের সুযোগ আছে।

মীর সামসুজ্জামান/এনএ