করোনা মহামারির ফলে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যালয় চালুর খবরে মাদারীপুর জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় চলছে নানা প্রস্তুতি। তবে বন্যার কারণে পাঠদানে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে পাঁচ উপজেলার অন্তত ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলায় ৩টি, রাজৈর উপজেলায় ৪টি, কালকিনি উপজেলায় ৫টি ও শিবচর উপজেলায় ৮টি বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের মাঠে ও যাতায়াতপথে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার শঙ্কায় আছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

আর পানিবন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে রাঘদী নাগরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিজলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরুদ্দিন মোল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ২০টি।

এ অবস্থায় দীর্ঘ দেড় বছর পর বিদ্যালয় চালু হলে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।

রাজৈর উপজেলার রাঘদী নাগরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সম্রাট হোসেন মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, চারপাশ দিয়ে বন্যার পানিতে বিদ্যালয়টি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়র মাঠে পাটখড়ি ও ধানের খড়ের পালা দিয়ে রাখছেন এলাকাবাসী। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি আমরা।

রাঘদী নাগরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া আক্তার বলে, স্কুলের চারপাশে পানি, আমরা কীভাবে স্কুলে যাব? এতে আমাদের শিক্ষা নিয়ে শঙ্কিত। এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্মকর্তাদের নজর দেওয়া উচিত।

সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাশিদা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কয়েক দিন আগে অনেকগুলো স্কুল পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি বিদ্যালয়ের যাতায়াতের রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে আপাতত পাঠদানে কোনো সমস্যা হবে না।

এ ছাড়া করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ গঠনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতি হলে স্কুল চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।

মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা জেলার যেসব বিদ্যালয়ে পানি উঠতে পারে, তার একটি তালিকা তৈরি করেছি। এখন পর্যন্ত বেশ কিছু বিদ্যালয়ের মাঠে পানি উঠেছে। তবে বিদ্যালয়ের ভেতরে পানি ওঠেনি। যদি পানি ওঠে, তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাজমুল মোড়ল/এনএ