দৌলতদিয়া ঘাটে ভোগান্তি ছাড়াই পার হচ্ছে যানবাহন
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ফেরি পার হওয়া দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দেড় মাস ধরে নদীতে তীব্র স্রোত ও ফেরি সংকটের কারণে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়তে হতো দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকচালকদের। তবে এখন ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি পার হতে পারছে ওই সব যানবাহন।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কোনোপ্রকার ভোগান্তি ছাড়াই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলো সহজেই ফেরিতে উঠতে পারছে। ঘাট এলাকায় এসে দীর্ঘক্ষণ সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না।
বিজ্ঞাপন
আগে যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন যানবাহনগুলোকে আটকে থাকতে হতো সেখানে এখন ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করেই তারা ফেরির দেখা পাচ্ছে।
ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে বহরে ১৯টি ফেরি রয়েছে। তার মধ্যে ১১টি বড় রো রো ফেরি। বাকি ৮টি ছোট ইউটিলিটি ফেরি।
বিজ্ঞাপন
১১টি বড় রো রো ফেরি ও ছোট ফেরিগুলো সার্বক্ষণিক চলাচলের কারণে দৌলতদিয়ায় যানবাহনগুলোকে সিরিয়ালে আটকে থাকতে হচ্ছে না। তাছাড়া এখন পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে ফলে স্রোতও কম তাই নদী পার হতেও কম সময় লাগছে। ফলে স্বস্তি ফিরেছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে।
বাগেরহাট থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকচালক ছামাদ শেখ বলেন, ঘাটে মাত্র ২০ মিনিট হলো এসেছি। তেমন কোনো সিরিয়ালও নেই।দুই-তিন মিনিটের মধ্যে ফেরিতে উঠতে পারব।
গোল্ডেন লাইন পরিবহনের চালক আলাল বলেন, দেড় মাস ধরে অনেক ভোগান্তি নিয়ে পার হতে হয়েছে আমাদের। ঘাটে এসে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু আজ সহজেই ফেরিতে উঠতে পেরেছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন বলেন, বর্তমানে ১৮টি ফেরি চলছে। তার মধ্যে ১১টি বড় ফেরি রয়েছে। নদীতে স্রোতও কম তাই সহজেই নদী পার হওয়া যাচ্ছে।
মীর সামসুজ্জামান/এমএসআর