চাকরি খুঁজতে আসা গাজীপুরের এক নারীকে (২২) রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে বিক্রির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর গতকাল বুধবার ওই নারীকে পতিতালয় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

সোহেল রানা (২৫) রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থানার সামসু মাস্টার পাড়া গ্রামের বাবুল সরদারের ছেলে। বৃহস্পতিবার সোহেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাসন থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ মালেক খসরু জানান, ওই নারীর সংসারে অভাব-অনটন থাকায় চাকরির সন্ধান করছিলেন। গত ১১ আগস্ট সকালে ওই নারী গাজীপুরের বাসন থানার ভোগড়া বাইপাস এলাকার রুপা গার্মেন্টসের সামনে চাকরির খোঁজে যান। সেখানে ৩ জন লোক চাকরি দেওয়ার কথা বলে কৌশলে তাকে গাড়িতে তুলে সাভারে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে রাসেল নামের এক যুবকের কাছে ৫০ হাজার টাকায় হস্তান্তর করে। রাসেল পরে এক লাখ ২০ হাজার টাকায় দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে তাকে বিক্রি করে দেয়। 

অপরদিকে, স্ত্রী (ওই নারী) বাসায় না ফেরায় তার স্বামী ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু স্ত্রীর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান তিনি। পরে তিনি ওই গার্মেন্টসে এবং বিভিন্নস্থানে খুঁজতে থাকেন এবং ঘটনাটি তার স্বজনদের জানান। কোথাও সন্ধান না পেয়ে ৭ সেপ্টেম্বর বাসন থানায় একটি জিডি করেন।

জিডির পর ওইদিনই (৭ সেপ্টেম্বর) ওই নারীর বড় বোনের কাছে একটি ফোন আসে যে তার ছোট বোনকে দৌলতদিয়া পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে ওই নারী ঘটনাটি স্বামী পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গতকাল বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) পতিতালয় থেকে ওই নারীকে উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে।
 
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার  (৮ সেপ্টেম্বর) চারজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারীর স্বামী। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সোহেল রানা। এ চক্রের বিরুদ্ধে নানা কৌশলে নারী পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার সোহেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

শিহাব খান/এমএএস