গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও আটজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে করোনায় একজন, করোনার উপসর্গ নিয়ে পাঁচজন এবং করোনা নেগেটিভ হয়ে দুজন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে এরা মারা যান। 

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। তিনি রাজশাহীর বাসিন্দা। 

আর করোনার উপসর্গ নিয়ে রাজশাহীর তিনজন, নওগাঁর একজন ও পাবনার একজন মারা গেছেন। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ হয়ে অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় নওগাঁর একজন ও কুষ্টিয়ার একজন করে মারা গেছেন।

এই আটজনের মধ্যে চারজন মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)। এ ছাড়া ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন এবং ৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।

পরিচালক আরও জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৮৬ শয্যার রামেক করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন ১৫৯ জন। এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ১৫৩।

বর্তমানে রাজশাহীর ৭৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২১ জন, নাটোরের ১৫ জন, নওগাঁর ১৬ জন, পাবনার ১৫ জন, কুষ্টিয়ার আটজন, চুয়াডাঙ্গার চারজন, জয়পুরহাটের একজন এবং মেহেরপুরের একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫২ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৭৪ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ৩৩ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন। এই এক দিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৩ জন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৩৩ জনের নমুনায়। একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ৪৫৯ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২২ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ, জয়পুরহাটের ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে। 

প্রসঙ্গত, চলতি সেপ্টেম্বরের এই ১০ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৭০ জন। এর মধ্যে করোনায় ২৩ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ৩৮ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় সাতজনের মৃত্যু হয়।

এর আগে গত আগস্ট মাসে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৩৭৪ জন। এর মধ্যে করোনায় ১৫৪ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১৮৬ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এসপি