নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোবাইল নম্বর ক্লোন করে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী করার কথা বলে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা পোস্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক।

প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৪ নং চরওয়াপদা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির আহমেদ (৬৪)।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওসির ব্যক্তিগত নম্বর থেকে আমার নম্বরে (০১৭১৩৬০২৩০৯) কল আসে। কলদাতা নিজেকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার জন্য আমার কাছে টাকা চাই। এ ছাড়া ওসির সঙ্গে থাকা একজন বিচারককে ম্যানেজ করতে তিন লাখ টাকা চাই। 

এরপর বিচারক তার নম্বর (০১৩০৪-৯৪৪৪৬৮) থেকে আমাকে ফোন দিয়ে ছয়টি নম্বর দেয় (০১৭৩৩-৮১৬৯৬৪, ০১৭৬১-১০৬৩৭৩, ০১৭৯৭-৬০৪৫১৮, ০১৩২২-৬৫৯৪৩৫, ০১৮৬৩-৬৬৭০৪৬ ও ০১৮৭১-৬৯৫০৩৮)। আমাকে প্রতিটি নম্বরে ৫০ হাজার টাকা করে পাঠাতে বললে আমি সরল মনে তিন লাখ টাকা পাঠাই। এরপর আবার ০১৩২০-৮৩৬৭৫৮ ও ০১৮৭১-৬৯৫৮৪১ নম্বরে এক লাখ টাকা পাঠাতে বললে আমি সে টাকা পাঠিয়ে দেই। তারপর ওসি ফোন দিয়ে রাত ৯টায় আমাকে থানায় আসতে বলেন। আমি থানায় গিয়ে বুঝতে পারি প্রতারণার শিকার হয়েছি। এরপর থানায় একটি ডায়েরি করি। 

ওসি মো. জিয়াউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে একটি চক্র আমার ০১৩২০-১১১১৬৩ নম্বর ক্লোন করে ওসি চরজব্বর পরিচয় দিয়ে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে প্রতারণা করছে। প্রতারক চক্রটি আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী করে দেওয়া হবে এই মর্মে বিকাশে টাকা পাঠাতে বলছে। এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে এবং বিকাশ কিংবা অন্যান্য মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন রাখতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ‘চরজব্বর থানা নোয়াখালী’ নামে অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাসও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান চরজব্বর থানার ওসি মো. জিয়াউল হক।

হাসিব আল আমিন/এসপি