গ্রেফতার রাজু চন্দ্র শীল

চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগ বাজারে ব্যবসায়ী নারায়ণ ঘোষকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত রাজু চন্দ্র শীলকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা সিআইডির বিশেষ টিম তাকে সিলেট শহর থেকে গ্রেফতার করে। তাকে গ্রেফতারের পর হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রাজু সিআইডিকে জানিয়েছেন- পাওনা টাকার লেনদেনের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।  

আটক রাজু চন্দ্র শীল চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগ বাজারের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী ছিলেন। সেই সেলুনেই গত ১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ব্যবসায়ী নারায়ণ ঘোষকে হত্যা করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের মরদেহ বিপণীবাগ বাজারের পাবলিক টয়লেটের পাশ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিহত নারায়ণ ঘোষ চাঁদপুরের বিভিন্ন দোকানে দীর্ঘদিন ধরে মাঠা ও দই-মিষ্টি বিক্রি করে আসছিলেন। ঘটনার দিন রাতে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তিনি রাজু চন্দ্র শীলের কাছে যান। এরপরই তাকে হত্যা করা হয়।

বিপনীবাগ বাজারের নৈশপ্রহরী মো. ইসমাইল জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ওই বাজারের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী রাজু চন্দ্র শীলকে রাত ২টায় শাটার খুলে পানি দিয়ে দোকান পরিষ্কার করতে দেখা যায়। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় যে, ধর্মীয় উৎসব থাকার কারণে দোকান পরিষ্কার করে পুরাতন জামা-কাপড়সহ অন্যান্য ময়লা জিনিসপত্র বস্তায় করে নিয়ে যাচ্ছে।

এরপর সেই বস্তাটি আসামি বিপনীবাগ মার্কেটের পশ্চিম পাশে শরীফ স্টিল ও পানির পাম্পের স্টাফ রুমের পূর্ব পাশের গলির ভেতর (পাবলিক টয়লেট সংলগ্ন) ফেলে পুনরায় দোকানে ফিরে আসে। এরপর আসামি পানি দিয়ে সেলুন পরিষ্কার করতে থাকে। সেলুন থেকে মরদেহ ফেলার স্থান পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখা যায়।

পরবর্তীতে সেলুনের মালিক শ্রীকৃষ্ণ দোকান খুলে সেলুনের মেঝেতে রক্ত মাখা পানি দেখতে পান। এ ছাড়া সেলুনের দেয়ালে, চেয়ারের কভারে, মেঝেতে, বালতির মধ্যে রক্তের দাগ দেখা যায়। এই ঘটনার পর রাজু চন্দ্র শীল পালিয়ে যান। 

সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, এই হত্যার ঘটনাটি সিআইডির নজরে আসে। এরপর ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। অভিযুক্ত রাজুর সম্ভাব্য লুকিয়ে থাকার সকল স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবশেষে সিলেট শহর থেকে সিআইডির একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। 

শরীফুল ইসলাম/আরএআর